জাতীয় আয়কর দিবস আজ। সারা দেশে দিবসটি উদযাপনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেশকিছু কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’। দিবসের বিশেষ আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, সকালে রাজধানীর কাকরাইল রাজস্ব ভবন প্রাঙ্গণে আয়কর দিবসের আলোচনা সভা। এতে রাজস্ব কর্মকর্তারা ছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তি, আয়কর আইনজীবী, সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করবেন। জাতীয় নির্বাচনের কারণে এ বছর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিষেধাজ্ঞা থাকায় র্যালির আয়োজন করা যায়নি।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান খাতই নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকরী মাধ্যম। প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর পৃথিবীর সকল উন্নত রাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।’ তিনি আয়কর মেলা ও আয়কর দিবস আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশে কর সংস্কৃৃতির লালন ও বিকাশ ত্বরান্বিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘কর আহরণের পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করাই কর বিভাগের প্রধান কাজ। দেশে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃৃতি গড়ার লক্ষ্যে এনবিআরের উদ্ভাবনী কর্মসূচির ছোঁয়া জাতীয় পর্যায় থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে।’ তিনি এনবিআর রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, করদাতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এবার এক ছাদের নিচে করসেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে ৭ দিন, ৫৬টি জেলা শহরে ৪ দিন, ৩২টি উপজেলায় ২ দিন এবং ৭০টি উপজেলায় ১ দিনব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর মেলায় করদাতাদের অভূতপূর্ব সাড়া কর আহরণে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। ৭ দিনে ২ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকার কর রাজস্ব আয় হয়েছে।
