নেত্রকোণার কলমাকান্দায় শুক্রবার গুমাই নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন প্রশাসন।
এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও কমপক্ষে ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করেছেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা। তবে নিখোঁজ স্বজনদের সুত্রে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো ২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান প্রশাসন।
নিখোঁজরা হচ্ছেন, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর ইনথানগর গ্রামের মো. আব্দুল ওয়াহাব কন্যা শিশু মনিরা আক্তার (৫) ও একই এলাকার হান্নান মিয়া ওরফে আবু এর পুত্র রতন মিয়া (৪০)।
গত বুধবার দিন শেষে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জের ডুবুরিদল উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করলেও রাতভর স্থগিত থাকে উদ্ধার অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে গুমাই নদীতে তারা এই উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন বিআইডব্লিউটিএ ডুবুরি দল। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এর নিকট মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুমাই নদীতে প্রচন্ড স্রোতের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব উত্তর দিকে প্রায় দশ কিলোর মধ্যে নিখোঁজদের উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ কাউকেই উদ্ধার করতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা এর নিকট মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি জানান, রাজনগর ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারের তৎপরতা কার্যক্রম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিন সকালে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থেকে ৩০/৩৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নেত্রকোনা জেলার ঠাকুরাকোনায় আসার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজনগর হলদিয়া গ্রামের সামনে গুমাই নদীতে বাল্কহেড একটি ষ্টিল বডির নৌকার সাথে ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবাহী ট্রলরটি কাত হয়ে ডুবে যায়। ট্রলারের বেশীর ভাগ যাত্রী সাঁতরিয়ে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অনেকেই নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে ৪ শিশু, ৫ নারী ও একজন পুরুষের মৃতদেহসহ ১০ জনের মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।