• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
৫ দানবাক্সে তিন মাসে জমা আরো ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তিন মাস পর পাওয়া গেল এক কোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আজব খবর

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ

৫ দানবাক্সে তিন মাসে জমা আরো ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা

  • কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০১৮

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তিন মাস পর পাওয়া গেল এক কোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দানবাক্সে পাওয়া টাকা গণনা শেষে এই হিসাব পাওয়া যায়। টাকা ছাড়াও বাক্সে পাওয়া গেছে অনেক সোনা ও রুপার অলঙ্কার।

জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ কাজ তদারক করেন কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে মসজিদের পাঁচ দানবাক্স খোলা হয়। পরে ১০টি বস্তায় টাকা ভর্তি করা হয়। পরে টাকা গণনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। টাকা গণনায় সহযোগিতা করেন মসজিদ কমপ্লেক্স মাদরাসার ছাত্ররা।

মসজিদ কমিটি জানায়, সর্বশেষ গত ৭ জুলাই মসজিদের পাঁচটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন মাত্র দুই মাসে ৮৮ লাখ টাকা পাওয়া যায়। আগেরবার তিন মাসে এক কোটিরও বেশি টাকা পাওয়া যায়। গত ১৩ মে পাগলা মসজিদে টাকা চুরির চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। সে সময় একটি দানবাক্স খুলে এক বস্তা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও তারা সে টাকা নিয়ে যেতে পারেনি। নৈশপ্রহরীর তাড়া খেয়ে টাকার বস্তা ফেলে রেখেই দুর্বৃত্তদের পালাতে হয়। ওই বস্তা থেকে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৮১ টাকা পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে পাগলা মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মসজিদের আয় থেকে জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদানসহ বিভিন্ন সেবামূলক খাতে সাহায্য দেওয়া হয়। বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসার জন্য মসজিদের তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।

কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে দুই শতাব্দী পুরনো পাগলা মসজিদ। পাঁচতলা উঁচু মিনারের মসজিদটি দূর থেকেই নজর কাড়ে। তবে দেশজুড়ে এর পরিচিতি দানবাক্স থেকে পাওয়া কোটি টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কারের কারণে। এই মসজিদে ইবাদত-বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস অনেকের।

পাশাপাশি রোগ-শোক, বিপদে-আপদে এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এ বিশ্বাসে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ছাড়াও দূর-দূরান্তের অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads