প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পদ হারানোর পর ক্ষমতাচ্যুত দলের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি শেহবাজ শরিফ।
ইমরান খানের পদত্যাগের পর শনিবার গভীর রাতে তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় জোট ক্ষমতায় গেলেও তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষে নিরাপরাধ লোকদের জেলে পাঠানো হবে না কিংবা প্রতিশোধ নেবে না।
ইমরানের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় দৌড়ে এগিয়ে আছেন বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ।
তিনি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী।
এদিকে ইমরান খানের পদত্যাগের পর ইনস্টিটিউট অফ হিস্টোরিকাল অ্যান্ড সোশাল রিসার্চের পরিচালক অধ্যাপক জাফর আহমেদ বলেন, আসন্ন সরকারকে দেশীয় ও বিদেশী সম্পর্কে একাধিক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। দুর্বল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান জঙ্গীবাদ, বিদেশী মিত্রদের সাথে নড়বড়ে সম্পর্ক পরবর্তী প্রশাসনের জন্য হবে বড় চ্যলেঞ্জ।
শাহবাজের পর ভাষণে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, আমি পুরো জাতি ও এ সংসদকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এ পর্যন্ত কোনো অনাস্থা ভোট সফল হয়নি। এবারই হলো। আজ ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল। আমরা আপনাদের পুরানা পাকিস্তানে স্বাগত জানাই।
পাকিস্তান তরুণদের উদ্দেশে বিলাওয়াল বলেন, তাদের উদ্দেশে আমার একটি বার্তা রয়েছে। কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। তাদের স্বপ্ন ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। গণতন্ত্র সর্বোৎকৃষ্ট প্রতিশোধ।
শনিবার রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের সাত দশকের কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারার ইতিহাসের অংশ হলেন ইমরান খান।
পার্লামেন্টে জাতীয় পরিষদে ১৭৪ জন সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। ভোট শেষে ফল ঘোষণা করেন নতুন স্পিকারের দায়িত্ব নেওয়া সরদার আয়াজ সাদিক।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। দিনভর চলে নাটকীয়তা। কয়েক দফায় অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারবেন না জানিয়ে রাতে পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার। পরে দায়িত্ব নেন আয়াজ সাদিক। এরপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়।