• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
চট্টগ্রাম পার্কভিউ হসপিটালের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

চট্টগ্রাম পার্কভিউ হসপিটালের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রাম পার্কভিউ হসপিটালের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন কিছু গণমাধ্যমে অনিয়মের সংবাদ প্রচার হয়।গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদকে মিথ্যা ও অপপ্রচারের দাবি করে একটি প্রতিবাদ লিপি দেন পার্কভিউ হসপিটাল কর্তৃপক্ষ।

পার্কভিউ কর্তৃপক্ষের ওই প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, রোগির কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় করা হয়েছে এমন সংবাদ গতকাল কিছু টিভি ও নিউজ পোর্টালে প্রচার করা হয়েছে তা আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে । সংবাদ মাধ্যম গুলোর প্রতিবেদনে রোগীকে সাধারণ বেডে রেখে আইসিইউ বেডের বিল আদায় করা হয়েছে বলে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয় । হসপিটাল কর্তৃপক্ষ এ রূপ ভিত্তিহীন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ।

তারা বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো রোগী চলতি মাসের ৪ তারিখ বিকাল সাড়ে চার টার সময় ক্রিটিকেল স্টেজের কোভিড আক্রান্ত হয়ে HDU-9 এ ভর্তি হয় এবং ১৭ তারিখ আনুমানিক রাত ১২টার সময় মৃত্রু বরণ করেন। তিনি (রোগী) কখনো কেবিনে যাননি তাই সাধারন বেডে চিকিৎসা প্রদানের প্রশ্নই উঠে না যার প্রত্যক্ষদর্শী এটেনডেন্ড হিসেবে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা রোগীর আপন ছোট ভাই। সময়ের হিসেবে এই রোগী HDU তে মোট ৩১৯ ঘন্টা চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এসময়ের মধ্যে রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে কোভিডের সর্বাধুনিক সকল চিকিৎসা প্রদান করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন পুরো সময় রোগীকে অত্যাধুনিক HFNC মেশিনের সাহায্য প্রতিমিনিটে ৫০-৭০ লিটার করে হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় সাথে দেয়া হয় জাতীয় গাইডলাইন অনুযায়ী উচ্চমূল্যের এন্টিবায়োটিক ও আনুসঙ্গিক ঔষধপত্র। সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদান করা সত্ত্বেও ক্রিটিক্যাল স্টেজের কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় রোগীর অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর রোগীর অভিভাবকের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ কোন প্রকারের অভিযোগ পাইনি। রোগীর স্বজনদের অনুরোধে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ ছাড় দেয় এরপর রোগীর অভিভাবকরা দাফন টিমসহ স্বাভাবিক নিয়মে মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। কিন্তু পরদিন আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করি কিছু লোক ফেসবুকে ও কিছু নিউজ পোর্টালে এবং পরদিন কিছু টিভির নিউজে পার্কভিউ হসপিটালের পেইড সিলবিহীন ওই রোগীর বিলের কপি নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে এবং অতিরিক্ত বিল আদায়ের অভিযোগ আনা হচ্ছে তাছাড়া প্রতিষ্ঠানকে হেয় করে নানান কুৎসা রটাতে দেখা গেছে । কর্তৃপক্ষ মনে করেন পার্কভিউ হসপিটালের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

প্রতিবাদ লিপিতে আরো বলা হয়, কোভিড মোকাবেলায় চট্টগ্রামে বেসরকারী হসপিটাল গুলোর মধ্যে পার্কভিউ অগ্রসর প্রতিষ্ঠান । কোভিড সংক্রমণ চরম আকার ধারণ করলেও পার্কভিউ কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা সংকুচিত করে হাসপাতালের সত্তরভাগ বেড ও পুরো আইসিইউ এবং সিসিইউ সম্পর্ণ আলাদা আগমন নির্গমন পথসহ কোভিড রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড করে দেয়। এখনো প্রায় সত্তর জন কোভিড রোগী পার্কভিউতে চিকিৎসাধীন আছে। মাস দেড়েক আগে যে সব রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যেতে বাধ্য হতো পার্কভিউ হসপিটালসহ বেসরকারী হাসপাতাল সমুহে HFNC সহ আধুনিক চিকিৎসা চালু করায় রোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের বাইরে যেতে হয় না। বিলও ঢাকার তুলনায় অনেক কম। সংক্রমণের কোয়ারেন্টাইন নিয়ম মেনে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য দুই থেকে তিনগুণ বেতনে তিন গুণ স্টাফ, হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ, ডিসপোজেবল পিপিই, মাস্ক, স্যনিটাইজার ইত্যাদি সংস্থানের উচ্চ খরচের চাপ সামলানোর জন্য বাধ্য হয়ে বেসরকারী হাসপাতাল সমুহে সেবার রেট বাড়াতে হয়েছে তা রাজধানীর কোভিড ডেডিকেটেড প্রাইভেট হসপিটালের তুলনায় অনেক কম। অনিচ্ছাকৃত এই রেট বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি হাসপাতালসমুহে কোভিড রোগীদের বিলও কিছুটা বেড়েছে যা সরকারী প্রসাশন অবহিত।

পার্কভিউ হাসপাতালের বিরুদ্ধে একটি মহলের সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শুভানুধ্যায়ী চিকিৎসাপ্রার্থীদের জন্য তাদের যৌক্তিক অবস্থান তুলে ধরে বলেন সুনামক্ষুন্নের হীণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত পরিকল্পিত এই অপপ্রচারে প্রিয় চট্টগ্রামবাসীদের বিভ্রান্ত না হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় ওই প্রতিবাদ লিপীতে ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads