সরকারি বরাদ্দ থাকলেও পটুয়াখালীর কলাপাড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেও কোন সম্মাানি পেলেন না দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসক, নার্স ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। সঠিক সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে দায়িত্বরতদের কাজে ব্যয় করতে না পারায় পুরো টাকাই ফেরত চলে গেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রক্শা করেছেন হাসপাতালে চরম ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তা,কর্মচারী ও চিকিৎসকরা।
জানা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় থেকে গত ২২ এপ্রিল (স্মাারক নং -৪৫.০০.০০.০০.১৩৯.০২০.০০৪.২০২০-৩১৪) দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের অব্যয়িত অর্থ হতে উপজেলা হাসপাতালগুলোকে তিন লাখ টাকা করে বরাদ্দ করে। এ টাকা করোনাকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করা ডাক্তার, নার্স ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্রতিদিন খাওয়া বাবদ পাঁচশ টাকা ছাড়াও তাদের নিজস্ব পরিবহন ও রোগী পরিবহন খাতে খরচের জন্য বরাদ্দ করা হয। কিন্তু কলাপাড়া হাসপাতালে পাঁচ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ইউনিট চালু থাকলেও এ সময়ে দায়িত্ব পালন করা কোন চিকিৎসক, নার্স ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা কোনো ধরনের টাকা প্রদান করা হয়নি।
কলাপাড়া হাসপাতালের হিসাব শাখা বিভাগে খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের কাগজপত্র তারা দালিলিক আকারে পেলেও টাকা উত্তোলন করেনি। এ কারণে টাকা ব্যয় না হওয়ায় জুন মাসে এ বরাদ্দকৃত তিন লাখ টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত চলে যায়।
কলাপাড়া হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল টেকনলোজিষ্ট মো. হাফিজুর রহমান জানান, তাঁরা শুনেছেন এরকম একটি বরাদ্দ হয়েছে, কিন্তু তারা কোন টাকা পাননি। একই কথা বলেন হাসপাতালে দায়িত্বরত একাধিক নার্স ও কর্মচারীরা। তাঁরা বলেন, করোনাকালীন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, কিন্তু তাদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা কিভাবে ফেরত চলে গেলো বিষয়টি বোধগম্য না।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, তিঁনিসহ হাসপাতালের সকল চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করেছেন। তারাও কোন অর্থ পাননি। মন্ত্রনালয় থেকে যে টাকা প্রেরণ করা হয়েছে তা উত্তোলন করতে সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবিহিত করেছেন। কিন্তু জুন ক্লোজিং হওয়ায় সঠিক সময়ে টাকা ব্যয় করতে না পারায় টাকা মন্ত্রনালয়ে ফেরত চলে গেছে। তাঁদের ধারণা পুনরায় এ টাকা বরাদ্দ হবে। তখন সংশ্লিষ্টদের টাকা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ৪৮০টি উপজেলা হাসপাতালে তিন লাখ টাকা করে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়।