আজ ২৬ জুলাই ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী কমান্ডার নাজমুল হক তারার নেতৃত্বে এই সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে করতে গিয়ে এই দিনে ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তারা হলেন- নেত্রকোনার ডা. আবদুল আজিজ, মো. ফজলুল হক, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. ইয়ার মাহমুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস, মো. নূরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ও জামালপুরের মো. জামাল উদ্দিন।
সম্মুখযুদ্ধ শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মরদেহ ভারতের মেঘালয় ঘেষা লেংগুরার ফুলবাড়ী সীমান্তে গনেশ্বরী নদীর পাড়ে ১১৭২নং পিলার সংলগ্ন স্থানে সমাহিত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে এই দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে প্রশাসন।
কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ও তৃতীয় দফায় বন্যার পরিস্থিতিতে দিনটি ঘিরে অন্যান্য বছরের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নেত্রকোনা -১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন , রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ , জনপ্রতিনিধিগন, শিক্ষকগন, পৃথক পৃথক ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শহীদদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন পূর্বক পুলিশের ও মুক্তিযোদ্ধাদের চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করবেন এবং শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা এর নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন , এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ২৬ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টায় নাজিরপুর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং পরে সাড়ে ১১ টায় লেংগুরায় সাত শহীদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।