পটুয়াখালীর বাউফলে আজ শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। এ সময় একাধিক মোটরসাইকেলসহ স্থানীয় কেশবপুর ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গুরুতর বরিশাল শেবাচিমে এবং বশির আহম্মেদ ও ইব্রাহিম নামে দুই জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেলে কেশবপুর ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন কেশবপুর ইউপির দুই নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। এ সময় তার গতি রোধ করে একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন তালুকদার, সুজন তালুকদারের ছোট ভাই রুমন ও কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জহিরুল হকের নেতৃত্বে ৫-৭ জন। অতর্কিত তার ব্যাহৃত মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে ও পিটিয়ে জখম করে টেনেহিচরে কলেজের একটি কক্ষে নিয়ে যায় তাকে। খবর পেয়ে কালিশুরী আরআরএফ পুলিশ ক্যাম্পের এসআই রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করেন তাকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এরপর তাকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়। এরই জেরে দুপুর দেড়টার দিকে রফিকুল ইসলামের অনুসারি ১০-১২ জন মিলে কেশবপুর বাজার এলাকায় মারধর করে সুজন তালুকদার ও যুবলীগ সভাপতি জহিরুল হকের অনুসারি ওই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির আহম্মেদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিমসহ ৮-১০ জনকে। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।