কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে বাঘ আতঙ্কে ৪ গ্রামের মানুষ। সকালে মানুষের উপর আক্রমণ করায় শিশুদের মক্তবের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে পড়েছে। একাধিকবার সংঘবদ্ধভাবে বাঘের উপর হামলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত কয়েক দিন থেকে উপজেলা ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের সাতরা, নাছনী, রাজাপুর ও পশ্চিমজালালাবাদ (সাত নম্বর) এলাকায় একটি (চিতা আকৃতির) বাঘ অবাধে বিচরণ করছে। মানুষের ছাগল, রাজহাঁস, মোরগ মেরে ফেলছে। গত বুধবার সকালে সাতরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাব্বি (১৪) ঘাস কাটতে বাড়ির পাশের জমিতে গেলে বাঘের আক্রমনের শিকার হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বাঘ তাদেরকেও ধাওয়া করে। ফলে বাঘ আতঙ্কে ঘুম নেই স্থানীদের।
জানা গেছে, এর আগে সাতরা গ্রামের জলিল মিয়ার একটি ছাগল দুপুরের দিকে বাড়ীর পাশের জমিতে মরে পড়ে আছে দেখতে পান। ছাগল মারা যাওয়ার কারণ খোঁজতে লাগলে ছাগলের ঘাড়ে দিকে আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়। আঘাতের চিহৃ দেখে কৌতুল থেকে একটি মোবাইল ফোন ক্যামেরা অন করে রেকর্ডে দিয়ে একটি গাছে রেখে দিলে কিছুক্ষণ পর আবার বাঘটি ছাগলের পাশে আসে। এতে স্থানীয় লোকজন প্রাণীটিকে বাঘ বলে মনে করছেন। প্রাণিটি হাঁস, ছাগল ও কুকুরকেও আক্রমণ কওে মেরে ফেলছে বলে জানান অনেকেই।
নাছনী গ্রামের সুনাই মিয়া জানান, তার রাজহাঁস মেরেছে। দিনে রাতে এখন এলাকার মানুষ জন চলাফেরা করতে হয় আতঙ্ক নিয়ে। গত দুইদিন থেকে আর কোনো পশু-পাখিকে আক্রমণ না করলেও মাঝে মধ্যে পথচারীদেরও ধাওয়া করছে। প্রথমে মানুষ এটাকে শিয়াল কিংবা নেকড়ে বাঘ মনে করেছিলো। কিন্তু মোবাইলে ভিডিও ধারণের পর অনেকেই চিতা বাঘ বলে মনে করছেন। মানুষকে ধাওয়া করার পর থেকে এসব এলাকার মানুষকে সংঘবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করতে হয়।