• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮

সারা দেশ

লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টির নেতা পেলো টিসিবি'র কার্ড, পণ্য তুলে ভাইরাল

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০২২

একতলা বিশিষ্ট পাকা বাড়ীর মালিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব রুহুল আমিন দুদু পেয়েছেন টিসিবি'র কার্ড। আর ওই কার্ডের পণ্য তোলার সময় হাস্যজ্জ্বোল মুখে ছবিও তুলেছেন অনেকে। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের লোহাখুচি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।এদিকে প্রধান শিক্ষকের ফেমিলি কার্ড দিয়ে পন্য কেনার ওই ছবি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়।

দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার ঘোষিত ১কোটি পরিবারকে দেয়া হয়েছে ফেমিলি কার্ড। সমাজে যারা নিম্নবৃত্ত তাদের জন্য এই সুবিধা দেয়ার কথা থাকলেও অনেক স্বচ্ছল পরিবার পেয়েছেন ওই কার্ড। লালমনিরহাটের সদর উপজেলার হারটি ইউনিয়নের লোহা খুচি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন দুদুও পেয়েছেন একটি কার্ড। পন্য কেনার সময় তোলা তার কয়েকটি ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুক'এ ভাইরাস হওয়া ছবিতে দেখা যায় ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নিজেই সে পন্য প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভের সাথে মন্তব্য করেছেন। (Mahbubar rahman Mahbub)নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, " সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র ব্যক্তি,।(asad khan) লিখছেন, এরাইতো টিসিবির পন্য সামগ্রি পাওয়ার যোগ্য ব্যাক্তি। দেখতে হবে জাতীয় পার্টির সদর উপজেলার সদস্য সচিব"। (Nazmul Nayon) নামের ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "বিষয়টা দুঃখজনক, একজন প্রধান শিক্ষক টিসিবির পন্য ক্রয় করে একজন গরিবের হক নষ্ট করলেন। তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

জানাগেছে সদর উপজলার হারটি ইউনিয়নে ২২০০ টি ফ্যামিলি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়, তার মধ্যে ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম খন্দকার পান ১২০ টি। তার ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। সেখান থেকেই একটি কার্ড পেয়েছেন রুহুল আমিন দুদু। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলাকা বাসী ক্ষোভের সাথে জানান আমরা নিম্নবৃত্ত পরিবার হলেও অনেক চেস্টা করে কোন কার্ড পাইনি। অথচ মেম্বার সাব তার আত্বীয় স্বজন ও কাছের মানুষকেই কার্ড দিয়েছেন।

তবে ইউপি সদস্য কামরুল জানান, ওয়ার্ডের জন্য ৯৫ টি কার্ড পেয়েছি। এর মধ্যে দুই তিনটি কার্ড প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক পরিবারের কাছে গেছে। আর  দু'একটা কার্ড তো এমন হবেই। 

প্রধান শিক্ষক ও জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন দুদু জানান, আমার নামে একটি টিসিবির কার্ড বরাদ্দ ছিল সেটি দিয়ে আমি টাকার বিনিময়ে পন্য তুলেছি। আর পন্য তো আমাকে বিনামূল্যে দেয়নি।

ইউপি চেয়ারমান সিরাজুল হক রানা জানান, তিনি প্রতি ওয়ার্ডে যে সংখ্যক কার্ড বিতরণ করেছে তা ইউপি সদস্যরা তাদের ইচ্ছে মত বড়লোক, সমাজের প্রভাবশালী, রাজনৈতিক পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছেন। উপকার ভোগী নির্বাচনে তাদেরই গাফলতি ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads