লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দশ কেজি টোকেনের চাল নিতে এসে চেয়ারম্যানের নির্যাতনের শিকার হয়েছে সীমারানী দাস নামের এক সংখ্যালঘু নারী।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কমলনগরের হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, কমলনগরের হাজিরহাট ইউনিয়নের কৈলাশ সরকার বাড়ির সুশান্ত দাসের স্ত্রী সীমারানী দাস ১০ কেজি চালের টোকেন নিয়ে স্থানীয় হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চাউল রিসিভ করার পর চেয়ারম্যান মো: নিজাম উদ্দীন তাকে ডেকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চাউলগুলো রেখে দেয়। এ সময় তাকে মারধর সহ শারিরীক নির্যাতন করে।
ভুক্তভোগী সীমারানী দাস জানান, শুক্রবার রাতে আমি দশ কেজি চালের টোকেন পাই। আজকে ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে চাল রিসিভ করার পর পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দীন আমাকে ডেকে নিয়ে বলে আমি নাকি দুইবার চাল নিয়েছি। এ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ১০ কেজির চালের বস্তা রেখে আমাকে মারধর করে। পরে বিষয়টি আমি হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ, কমলনগর শাখার
সাধারণ সম্পাদক সংকর বাবুকে জানায়। তিনি এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন।
হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ কমলনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সংকর জানান, চেয়ারম্যান কর্তৃক সীমারানী দাসকে নির্যাতন ও চাল রেখে দেওয়ার বিষয়ে আমাকে জানালে আমি জেলার নেতাদের বিষয়টি অবহিত করি এবং কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দীন মুঠফোনে জানান, হিন্দু মহিলা দুই টোকেনের চাল নেওয়ায় আমি চালগুলো কাড়িলই। পরে বিষয়টি এলাকার লোকজন ও মহিলার বাড়ীতে গিয়ে সমাধা করেছেন বলে জানান।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ভূক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।