• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
জ্বালানি তেল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসবে পাইপলাইনে

প্রতীকী ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

জ্বালানি তেল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসবে পাইপলাইনে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর ২০১৮

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে তরল জ্বালানি পৌঁছানো হয় নদী ও সড়ক পথে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে যাচ্ছে পরিবহন ভাড়ায়। পরিবহনের সময় জ্বালানির অপচয়ও হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে নদীর পানি ও পরিবেশ। এ পরিস্থিতির অবসানে রাজধানী ঢাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে তরল জ্বালানি সরবরাহ করতে চায় সরকার। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে ২ হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ একনেকের অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। প্রকল্পের পুরো অর্থই বিপিসির তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে।

প্রকল্পটির আওতায় প্রকল্পের তরল জ্বালানি পরিবহন করতে ৩০৫ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এর আওতায় চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত ২৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে নির্মাণ করা হবে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার পাইপলাইনের ব্যাস হবে ১০ ইঞ্চি। চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ভূ-গর্ভস্থ পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন নির্মাণ হবে। এর বাইরে ২২টি নদী, ৪৪টি রাস্তা ও ১১টি রেলক্রসিংয়ে থাকবে বড় অঙ্কের বরাদ্দ।

সূত্র জানায়, জ্বালানি তেল পরিবহন ও সরবরাহের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরির লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর কাজ শেষ হলে প্রতিকূল পরিবেশেও নির্বিঘ্নে জ্বালানি সরবরাহ করা যাবে। জ্বালানি পরিবহনে অপচয় ও ব্যয় কমে আসবে। কমে আসবে পরিবেশের দূষণ।

প্রকল্পটির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সারা দেশে তরল জ্বালানির চাহিদা ৫৮ লাখ টন। গ্যাস সঙ্কটের কারণে এ চাহিদা আরো বাড়বে। ঢাকা ও এর আশপাশে তরল জ্বালানির চাহিদা ১৫ লাখ টন। গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোর মাধ্যমে এ তেল সরবরাহ করা হয়। চাঁদপুরের তিন ডিপোতে রেলের চাহিদা ১৪ লাখ টন। বর্তমানে ট্যাঙ্কারযোগে সারা দেশে তেল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়।

এতে আরো বলা হয়, বর্তমানে ৯০ শতাংশ জ্বালানি পরিবহন করা হচ্ছে জলপথে। এজন্য ২০০ কোস্টাল ট্যাঙ্কার রয়েছে। ভবিষ্যতে ট্যাঙ্কার বেড়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি চাঁদপুরসহ বিভিন্ন লোডিং-আনলোডিং অবকাঠামোতে চাপ বাড়বে। নদীর নাব্য কমে আসায় জলপথে জ্বালানি পরিবহন দুরূহ হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় চাহিদা বাড়ার সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে তেল পরিবহন করা যাবে না বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, প্রকল্পটির আওতায় চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণ হবে। এর মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহন সহজ হবে। স্বল্প সময়ে জ্বালানি তেল পরিবহনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads