পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর তারেক রহমানের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা খুব একটা কষ্টকর নয়। আন্তর্জাতিক আইন কখনো অপরাধীকে সমর্থন করে না। তারেক রহমানও একজন অপরাধী হিসেবে দণ্ডিত। গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। আগে অর্থ পাচার মামলার রায়েও তার কারাদণ্ড হয়েছে। এ গ্রাউন্ডেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা খুব বেশি কষ্টকর নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
একুশ আগস্ট মামলার রায়ের আপিল প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এলে দ্রুত শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে। রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তাদের আদালত থেকে বিনা খরচে রায়ের কপি দেওয়া হয়। আর তারা যদি আপিল ফাইল করে, তবে সেটাও ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসবে। সেক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব শুনানির জন্য পদক্ষেপ নেব। তবে এটাতে পেপারবুক তৈরি করার বিষয় রয়েছে, সেগুলো আদালতের বিষয়। মামলার আপিল শুনানিতে আমাদের পদক্ষেপগুলো আমরা নেব।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানকে যদি নাটের গুরু বলা হয়ে থাকে, সেটা রায় পর্যালোচনা করে দেখব। রায় পড়ে যদি দেখি তারও মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল, তাহলে তার দণ্ড বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করব। এর সবটাই নির্ভর করবে রায়টি পড়ার পর।
মাহবুবে আলম বলেন, এ মামলায় একজন পাকিস্তানি নাগরিকেরও সাজা হয়েছে। এখানে আমরা অনুমান করছি, বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য, বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য পাকিস্তান এখনো নিবৃত্ত হয়নি। পাকিস্তান এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা সেক্ষেত্রে জেএমবিসহ জঙ্গিদের দমন করতে সফল হয়েছি। সাজাপ্রাপ্ত ওই পাকিস্তানি নাগরিককে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজে খুন করেননি, কিন্তু খুন করিয়েছেন বলে তাকেও মৃত্যুদণ্ড পেতে হয়েছে। আমারো মনে হয় তারেকের অন্যদের মতো ফাঁসি হওয়া উচিত। আজ বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে রাষ্ট্রীয় সমর্থন, প্ররোচনা ও অর্থায়নে এই হামলা হয়েছে।