• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দাবি মিয়ানমারের

সেন্টমার্টিন দিপ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের প্রতিবাদ

মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দাবি মিয়ানমারের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ অক্টোবর ২০১৮

মিয়ানমার তাদের মানচিত্রে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে সেন্ট মার্টিনকে দেখানোয় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশিদ আলম মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ লুইন ও’কে তলব করে বাংলাদেশের প্রতিবাদ জানান। সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবেও দাবি করেছে দেশটি।

দেশটি আরাকানের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও দেশটি এবার মিয়ানমার সেন্ট মার্টিনকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করল।

দুপুর ১টায় মন্ত্রণালয়ে খুরশিদ আলমের সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রদূত। প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি বেরিয়ে আসেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি রাষ্ট্রদূত লুইন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড মিয়ানমারের মানচিত্রে প্রদর্শনের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। বিষয়টি স্বীকার করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ভুলক্রমে এটা হতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট নামক একটি রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০১৫-২০১৮ সালের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিনকে তাদের ভুখণ্ড হিসেবে দেখিয়েছে। সেই সঙ্গে এ দ্বীপের বাসিন্দাদেরও নিজেদের নাগরিক বলে দেখিয়েছে। ওই মানচিত্রে মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেন্ট মার্টিনকে একই রঙে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূভাগ চিহ্নিত করা হয় অন্য রঙে।

রাষ্ট্রদূত ইউ লুইন ও’র হাতে একটি কূটনৈতিক পত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়। যাতে সেন্ট মার্টিন যে বাংলাদেশের অংশ তার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিয়ানমার আপত্তিকর এ ধরনের কাজ করলে বাংলাদেশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে মিয়ানমারের এই তৎপরতাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটকে পাশ কাটাতে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই তাকে (রাষ্ট্রদূত) বলা হয়েছে, কীভাবে এমনটা হলো তা খুঁজে বের করে জানাতে।

কক্সবাজারের অদূরে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সৃষ্টি থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ১৯৩৭ সালে বার্মা-ভারত ভাগের সময়ও সেন্ট মার্টিন ভারতের অংশ ছিল।

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় দ্বীপটি পাকিস্তানের সীমানায় পড়ে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭৪ সালে এ দ্বীপকে বাংলাদেশের অংশ ধরেই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র চুক্তি হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads