আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার করোনার সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্যোগ ও সংকট মোকাবেলায় সাহসী নেত্রী আমাদের আস্থার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয় নিবিড়ভাবে মনিটর করছেন, যার হাত দিয়ে দেশে স্থাপিত হয়েছে হাজার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক।’
আজ শনিবার বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয়ে ঈদ সার্ভিস উপলক্ষে গৃহীত পদক্ষেপ ও দিক-নির্দেশনামূলক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা জনগণের দ্বারগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন জেলায় স্থাপন করা হয়েছে মেডিকেল কলেজ। চিকিৎসা সুযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি গবেষণায় দেওয়া হয়েছে মনোযোগ। বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপন করা হচ্ছে মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ কমপ্লেক্স ও সেন্টাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগসহ চিকিৎসা খাতে দেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত বরাদ্দ।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং জনমানুষের প্রতি তাঁর যে প্রগাঢ় ভালবাসা-তার প্রতি আপনারা আস্থা রাখুন। নেতৃত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দেশ ও দেশের জনগণকে ভালবাসা। যিনি এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। দেশের সাথে মিলিয়েছেন নিজের জীবনের আশা-আকাঙ্খা, সংকটে যিনি আস্থার প্রতীক, তিনিই হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আপনারা আস্থার সাথে মনোবল দৃঢ় রেখে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন। শীঘ্রই এই করোনার অমানিশা কেটে আবার আমরা ফিরবো চিরচেনা সতেজ পৃথিবীতে, পরিচিত কোলাহলে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। তবে ঈদের আগে থেকে পরে কর্মস্থলে ফিরে আসার সময় অধিক সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ঘটে মূল্যবান প্রাণহানি। আমি ঈদ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী যাত্রায় সতর্কতার সাথে গাড়ি চালনা করার জন্য পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের অনুরোধ জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি ফিরতি যাত্রায় বা ঈদের পর কোনরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে কড়া নজরদারির জন্য জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিআরটিসি’র সমস্যা শ্রমিক কর্মচারীতে নয়। ডিপোকেন্দ্রিক যে অনিয়ম রয়েছে তা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সদরদপ্তরের কিছু সমস্যা আছে বলে আমার জানা আছে। বিআরটিসি’র
পরিবহন মেরামত, ক্রয়, ভূমি ইজারা প্রদান, ইজারা আদায়, দৈনিক ট্রিপ ব্যবস্থাপনা, সেবা থেকে আদায়, বাস লিজ প্রদান করার ক্ষেত্রে অনিয়মের ভুতের আছর আছে বলে আমার কাছে অভিযোগ আছে।
অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। বিআরটিসিকে অনিয়মের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে।