আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারীর পর দুটি যুদ্ধ সারাবিশ্বের জীবনমান বাধাগ্রস্ত করেছে। অবরোধ-পাল্টা অবরোধ দেয়া হয়েছে। অধিক মূল্যে পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। তাই চেষ্টা থাকা স্বত্বেও পণ্যের দাম সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
আওয়ামী লীগ কথামালার রাজনীতি বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত সাফল্যের সব কৃতিত্ব জনগণের। ভুলত্রুটিগুলো তার নিজের। ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে ভবিষ্যতে সে ভুলগুলো মাথায় নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণার আয়োজনে একথা বলেছেন দলের সভাপতি।
বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস দেখে ভয় পাবার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগের সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাধা সৃষ্টি করেছে। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ভুগিয়েছে। খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ভুগিয়েছে। করোনা মহামারী পৃথিবীর অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এমন সময়েও আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে।
নির্বাচন এলেই একটি চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে একটি চক্র আটঘাট বেধে নেমেছে। প্রতিশোধ স্পৃহা, নাশকতা-বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে ঘরবন্দি করে রাখতে চায় তারা। রেলে নাশকতা করে যাচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মারছে। এক্ষেত্রে বিদেশ থেকেও কলকাঠি নাড়ানো হচ্ছে। এসব আর সহ্য করা যায় না।
সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচালের স্বপ্ন কোনো দিনই পূরণ হবে না বলেও উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত যেভাবে ঘাতক-অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রতিহত করা হয়েছিল, সেভাবে এবারও প্রতিহত করবে জনগণ। বলেন, শকুনের দল যেন কখনও বাংলাদেশকে আর ক্ষতবিক্ষত না করতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বলেন, বাবা (বঙ্গবন্ধু) জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য। তাই শত বাধা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, শত বাধাও তাকে টলাতে পারবে না।