• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
বন্যা-ভাঙ্গনে দিশেহারা যমুনা পাড়ের মানুষ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

বন্যা-ভাঙ্গনে দিশেহারা যমুনা পাড়ের মানুষ

  • সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
  • প্রকাশিত ২৪ জুলাই ২০২০

পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবারের সংকট। পানিবন্দী মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত ডায়রিয়া, আমাশয় ও হাত-পায়ে ঘাসহ নানা রোগ। অন্যদিকে পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। নিঃস্ব হয়ে পড়ছে মানুষ। সব মিলিয়ে যমুনা পাড়ের বন্যা-তীর ভাঙ্গন ও ভোগান্তিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে যমুনাপাড়ের মানুষ। 

জানা যায়, দ্বিতীয় দফা যমুনার পানি বিপদসীমার ১০০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হবার পর কমে ৬১ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর গত তিনদিন ধরে আবার বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৮০  সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বাড়ার কারণে দীর্ঘ প্রায় একমাস যাবত জেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। দীর্ঘসময় পানি থাকায় কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে নষ্ট হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারো নাজুক হয়ে পড়েছে। কলার ভেলা ও নৌকাই তাদের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সবার ঘরে নৌকা না থাকায় দিনরাত ঘরবন্দী হয়ে থাকছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ীর বেড়াসহ আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কাজকর্মহীন পানিবন্দী এসব মানুষ ভয়াবহ কস্টে দিনযাপন করছে। পানিবন্দী মানুষের ঘরে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়ায় ওষুধের সংকটে পড়েছে। সরকারীভাবে তেমন সহযোগিতা এখনো পানিবন্দী মানুষের ঘরে পৌছেনি। এ নিয়ে বন্যাকবলিতদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। অন্যদিকে, পানিবাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গতকাল বিকেলে পাচঠাকুরী এলাকায় আকস্মিক ভাঙ্গনে বেশ কয়েকটি বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যায়। 

চরমিরপুর এলাকার আছিয়া খাতুন ও রুমি খাতুন জানান, প্রায় ২৫দিন যাবত পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছি। টিউবওয়েল, বাথরুম তলিয়ে গেছে। বহুকস্টে দিনযাপন করছি। আয় রোজগার নেই। এতো কষ্টে থাকলেও কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না। ঋণদার করে খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads