উজান থেকে নেমে আসা পানিতে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। শনিবার জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানিতে জেলার ৪উপজেলা টঙ্গীবাড়ী, শ্রীনগর, লৌহজং ও সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ১৫৩টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয় হয়ে পরেছে ২৮ হাজার পরিবার। এদের মধ্যে ১৬৫টি পরিবার আশ্রয়ন কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ভেসে গেছে জেলার ১৭শ ২টি পুকুরের মাছ। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮ কোটি টাকা।
এদিকে বন্যা কবলিতদের জন্য এ পর্যন্ত জেলাপ্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের ২০২মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার ১ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জিআর ক্যাশ হিসাবে ৩ লাখ, গো-খাদ্যের জন্য ৩ লাখ ও শিশু খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পানির স্রোত অব্যাহত থাকলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বৃদ্ধি পাবে।