পাহাড়ী ঢলে যমুনা পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যমুনা নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে যমুনা নদীর সদর উপজেলার সিমলা এলাকায় স্পার ভেঙ্গে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তীব্র স্রোত ও ঘুর্নায়নে মুহুতে বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হতে থাকে। কেউ কিছু জানার বা আসবাবপত্র সরানোর আগেই সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মানুষের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস। ভাঙ্গনমুখে পড়ে শত শত বসতবাড়ী। উপায় না দেখে বসতবাড়ীগুলো সরিয়ে নিচ্ছে এসব মানুষ।
এদিকে পানি বাড়তে থাকায় জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের সাড়ে তিন লাখেরও মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবারের সংকট। পানিবন্দী মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত ডায়রিয়া, আমাশয় ও হাত-পায়ে ঘাসহ নানা রোগ।