টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার কোরবানির পশুরহাটগুলোতে মানা হচ্ছে না কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করেছন স্থানীয় সচেতন মহল।
এদিকে কোরবানীর পশুর হাটে প্রচুর পরিমাণের গরু, ছাগল উঠলেও পশুর দাম কমে যাওয়ায় ব্যাপারীরা রয়েছেন হতাশায়। তাই ক্রেতারাও সুযোগ বুঝে দেখে শুনে দরদাম করে তাদের কোরবানীর পশু ক্রয় করছেন।
রোববার বিকেলে উপজেলার গোবিন্দাসী গরুর হাটে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, ঈদের এখনো আরো ৫ দিন বাকি আছে। তাই ভালোভাবে দেখে পশু ক্রয় করবেন। এবার দেশে খামারিদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমানে গরু রয়েছে তাই কোরবানীর পশুর সংকট হবেনা বলে তারা বলেন। অন্যদিকে উপজেলার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না কোন সামাজিক দূরত্ব। হাটে আগত ক্রেতা ও বিক্রতারা মাস্ক না পরায় অনেকে করোনার সংক্রমনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, গোবিন্দাসী হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বেচাকিনি হচ্ছে পশু। এতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকির বাড়তে পারে, তবে এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান চলবে।
গোবিন্দাসী হাটের ইজারাদার মো. লিটন মন্ডল বলেন, ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি তাই হাটে ক্রেতা ও পাইকারের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে হাট পরিচালনা করা কঠিন। তারপরও আমরা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি এছাড়াও মাইক দিয়ে সার্বক্ষণিক সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে পশু ক্রয় করার কথা বলা হচ্ছে।