রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ দেশের কৃষিবিদ এবং গবেষকদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে টেকসই ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্য জাত উদ্ভাবনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটরিয়ামে কৃষি পদক প্রদান অনুষ্ঠানের ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে এবং যদি পরিবেশ দুষণ বন্ধ করা না যায় তাহলে এই পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে কৃষিবিদ ও গবেষকদের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
কৃষি উৎপাদনে ঝুঁকি এবং ব্যয় বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়েছে একথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ পরিবেশ বান্ধব কৃষি উৎপাদন পদ্ধতি এবং প্রযুক্তিভিত্তিক টেকসই পদ্ধতির প্রসার ও উদ্ভাবনে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়াও হাওর এলাকার জন্য স্বল্প সময়ে উৎপাদন সক্ষম ধানের জাত উদ্ভাবন এবং বিকল্প শস্য উৎপাদনের উপায় বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। এজন্য আমাদের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কার্যকর ও টেকসই পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অপব্যবহার হ্রাস করার কথা উল্লেখ রাষ্ট্রপতি বলেন, এই রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতি ব্যবহারে দেশের উর্বর কৃষিজমি ক্রমান্বয়ে উৎপাদন ক্ষমতা হারাচ্ছে। এজন্য জৈবসার ও জৈব কীটনাশকের ব্যবহার বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।
নিজেকে কৃষক পরিবারের সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, যদি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে, তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। দেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি জোরদার হবে।
রাষ্ট্রপতি কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, কেআইবি মহাসচিব কৃষিবিদ মোহাম্মদ খায়রুল আলম প্রিন্স এবং কেআইবি জুরি বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ড. শহিদুর রশিদ ভুঁইয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কেআইবি সভাপতি কৃষিবিদ এএমএম সালেহ।
কৃষিতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ৪ ব্যক্তি ও ১টি ইনস্টিটিউশনকে কেআইবি এ্যওয়ার্ড ২০১৮ এবং ৫ ব্যক্তি ও ১টি ইনস্টিটিউশনকে এওয়ার্ড ২০১৭ প্রদান করা হয়েছে।