প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়ে সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলায় আহত অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে দেখে এসেছেন।
গত শনিবার রাত থেকে ঢাকা সিএমএইচের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটিটে চিকিৎসাধীন এই জনপ্রিয় লেখক।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছুরির আঘাতে জাফর ইকবালের মাথা, পিঠ ও হাত জখম হয়।
তাকে দেখতে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার পর হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাফর ইকবালের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং তার পাশে কিছু সময় কাটান।
জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক এবং মেয়ে ইয়েশিম ইকবাল ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, অধ্যাপক জাফর ইকবালের সুস্থতার জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রায় এক ঘণ্টা হাসপাতালে ছিলেন। অধ্যাপক জাফর ইকবালের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে শনিবার বিকালে ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফেস্টিভাল চলাকালে জাফর ইকবালের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক তরুণ।
হামলার পর অধ্যাপক জাফর ইকবালকে নেওয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রাতেই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হয়। হামলায় জড়িতদের ধরতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন।
সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে অধ্যাপক ইয়াসমিন হক রোববার ঢাকা সিএমএইচে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এখানটায় নিয়ে আসার জন্য অ্যারেঞ্জ করেছেন। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে কাজ করেছেন। আমি শুনেছি, তিনি নিজে ফোন করে শিক্ষকদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েছেন।’
ঢাকা সিএমএইচের চিকিৎসকরা রোববার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের মাথা, পিঠ ও হাতে ছুরির আঘাতের ছয়টি জখম রয়েছে। তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত, তবে পুরো সুস্থ হতে তার কয়েক দিন সময় লাগবে।