শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দাফনের আগে নড়ে ওঠা নবজাতককে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এই নবজাতকের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল আজিজ জানান, এই নবজাতককে বাঁচানো যায়নি। তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শারমিন আক্তার (২৪) একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন। জন্মের পরই নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করে দাফনের জন্যে পাঠানো হয় আজিমপুর কবরস্থানে। শেষ গোসল করানোর সময় নবজাতকটি হঠাৎ নড়ে ওঠে। দুপুরের দিকে নবজাতকটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন সোমবার জানিয়েছিলেন, নবজাতকটির অবস্থা খুব খারাপ। যদিও তার হৃদ্যন্ত্র সচল আছে কিন্তু অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তাকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
সাত মাসে জন্ম নেয়া নবজাতকটির ওজন ছিল মাত্র ৯০০ গ্রাম। অস্ত্রোপচার ছাড়াই তার জন্ম হয় শিশুটির। নবজাতকের মা শারমিন আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নবজাতকটির বাবা মিনহাজ উদ্দিন। তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। স্ত্রীসহ তিনি ধামরাইতে থাকেন।