রিজওয়ানার বক্তব্য বিরাজনীতিকরণের পদচিহ্ন : প্রিন্স
হালুয়াঘাট (ময়মনসিং) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২১
উপদেষ্টা রিজওয়ানার বক্তব্য বিরাজনীতিকরণের পদচিহ্ন বলে মনে করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘৫৪ বছরে রাজনীতিবিদরা সংস্কার করেনি, উপদেষ্টার এই বক্তব্য শুধু অমূলকই নয়, বিরাজনীতিকরণের পদচিহ্ন বলে বিবেচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব নিশ্চয়ই বিএনপি বা দেশবাসীর উপর চাপানো সুবিবেচনাপ্রসূত হবে না।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) হালুয়াঘাট পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা, চেতনাকে ধূলিসাৎ করেছিল। নির্লজ্জ লুটপাট ও দুর্নীতি করে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ করেছিল। কর্তৃত্ববাদ ও আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার না করে তাদের প্রভুদেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আওয়ামী সরকারের বিভাজন, দমন নিপীড়ন ও একদলীয় শাসনের কারণে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়েছিল। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রত্যাশিত রাষ্ট্র গঠন করা যায়নি।’
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র গঠনে নতুন করে কাজ শুরু কারলেও দেশি-বিদেশি চক্রান্তে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে বারবার বাধাগ্রস্ত করা হয় সেই ধারার কাজ। ফ্যসিস্ট হাসিনার পতনের পর আবার সেই সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।’
এবার সেই সম্ভাবনাকে কোনোভাবেই বানচাল করতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।’
সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার মুখ থেকে রাজনীতিবিরোধী বক্তব্য আসছে জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘দিনশেষে রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবে। এটাই অমোঘ সত্য। তাই রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে না বলে রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যতটুকু উন্নয়ন বা সংস্কার, তা রাজনীতির হাত ধরেই এসেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্র গঠনে যে সংস্কার এনেছিলেন, তা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন। দেশ-বিদেশে তা সমাদৃত হয়েছে।’
ওমর ফারুক আকাশ/এমজে