রাবিতে পোষ্য কোটা নিয়ে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার পক্ষে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে শিক্ষার্থীদের ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে কর্মসূচিটি পালিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত না থাকায় শিক্ষার্থীরাই তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন।
পক্ষদলে শিক্ষক হিসেবে কল্পনা আক্তার, কর্মকতা হিসেবে কামরুল সজিব, ও কর্মচারী হিসেবে সায়াদাত হোসাইন প্রতিনিধিত্ব করেন। বিপক্ষ দলের শিক্ষার্থীরা হলেন আমানুল্লাহ আমান, রায়হান ও সন্ধি। বিতর্কে পোষ্য কোটার পক্ষে-বিপক্ষে বিতার্ককরা যুক্তি তুলে ধরেন।
বিতর্কের বিচারক হিসেবে ছিলেন একজন শিক্ষক, রিক্সাচালক ও ব্যবসায়ী। সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার
বিতর্কের বিচারক হিসেবে আইন বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম পিটার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা, কর্মচারী হয়ে যখন কেউ ঢোকেন তখন থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর তিনি ইউনিভার্সিটিতে অবস্থান করেন। এ সময় অনেকেই নিজেদের ছেলেমেয়েদের প্রতি যত্নবান হন না। ফলে এই ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন না। চান্স পাইতে মিনিমাম যে নাম্বার দরকার সেটাও তারা পান না এরা। তখন তারা মিনিমাম নাম্বারের নিচে, অর্ধেক নাম্বার পেয়েও সন্তানদের ভর্তি করান। পক্ষান্তরে যারা মেরিটে ৭০ থেকে ৭২ নাম্বার পায় বা ৭১-এ এসে আটকে যায় তখন দেখা যায় কিছু শিক্ষকদের কারণে এই ৭২ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের চান্স পাওয়ার কবর রচনা করে।’
বিতর্ক শেষে দর্শকের ‘হ্যা’, ‘না’ ভোটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন রাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনকে সভাপতি করে ২০ সদস্যের কোটা পর্যালোচনা কমিটি গঠিত হয়। তবে এ কমিটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কার্যকরী সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
এমএইচএস