Logo
Logo

ক্যাম্পাস

‘শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে’

Icon

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, জবি

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০২

‘শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে’

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষাখাতে ন্যূনতম মোট বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে।’

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়ামের (আইআরডিসি) আয়োজনে ‘সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন : পেভিং বাংলাদেশ’স ফিউচার ইন এ কম্পেটিটিভ ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ড. মির্জা গালিব বলেন, ‘শিক্ষায় ফান্ডিং না বাড়াতে পারলে উন্নত বিশ্বের থেকে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বে।’

তিনি তরুণ গবেষকদের উদ্ভাবনী চেতনা বিকাশে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে সবকিছুই অনেক চ্যালেঞ্জিং, টেকনোলজি দ্রুত পরিবর্তনশীল, গ্লোবালি প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। যেসব দেশ সায়েন্স ও টেকনোলজিতে এগিয়ে তারাই অর্থনৈতিকভাবে তত প্রসারিত। আমাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ গবেষক তৈরি করতে হবে সাথে সাথে টেকনোলজিও উন্নত করতে হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে যে শিক্ষা কারিকুলাম রয়েছে, তার ব্যাপক পরিবর্তন  প্রয়োজন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামেরও উন্নতি প্রয়োজন সেটাতেও সন্দেহ নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামের সাথে সাথে এখানকার ছাত্র শিক্ষকের যে বন্ডিং, শিক্ষকদের যোগ্যতা ও শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া যেন দুর্নীতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা।’

মির্জা গালিব বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন ভালো ছাত্রকে ভালো শিক্ষক বটতলায়ও যদি বসিয়ে দেন, সেখানেও শিক্ষা হবে। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া, তা অনেক সময় ভালো শিক্ষক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসলেই শিক্ষার ক্ষেত্রে বিপ্লব সম্ভব।’ 

প্যানেল আলোচনায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দলমতের ঊর্ধ্বে মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে হবে। এত বছর বিজ্ঞান প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আড়ালে লুটপাট হয়েছে। এ কারণে আমাদের নৈতিক মানদণ্ডে বলিয়ান হতে হবে, এ শিক্ষা ইসলাম আমাদেরকে দিয়েছে।’

রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. জে. সালেহ আহমেদ বলেন, ‘এত বছর কত টেকনোলজি উদ্ভাবন হলো। কিন্তু এতে আমাদের কোনো অবদান নেই। শুধু উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলে হবে না, এসব উন্নয়ন আমাদের নিজস্ব টেকনোলজি দ্বারা তৈরি হলে আমরা আরও উৎফুল্ল হতে পারতাম।’

সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক বলেন, ‘জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করার মূল উপায় হচ্ছে শিক্ষা। আমাদেরকে একাডেমিক ইন্ডাস্ট্রি কোলাবোরেশনের গুরুত্ব দিতে হবে। এর মাধ্যমে আমরা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব।’

জেএন/এমজে/ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর