‘আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য’
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২৩
পরিবেশ রক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করতে ময়মনসিংহে ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০ জন ছাদ বাগানীর মাঝে উন্নত মানের ফল, সবজি ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রকল্পটির মুখ্য গবেষক এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য। বৃক্ষরোপণের উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে উৎসাহিত করতে এবং ময়মনসিংহ শহরে বাগানিদের মধ্যে উন্নত মানের চারা বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ফিড দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম হর্টিকালচার ইনোভেশন ল্যাব ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ইউসিড্যান্ডিস -এর তত্ত্বাবধানে এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো বাগানিদের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি বৃদ্ধি, আয় বৃদ্ধি এবং কৃষির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করা। এছাড়াও বাগানিরা যাতে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, সে বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর প্রকল্পের আওতায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আবেদিন, সহযোগী গবেষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সুমন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরীয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ড. উম্মে হাবিবা, এবং পিএইচডি শিক্ষার্থী মোছা. লাজিনা বেগম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গাছ আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বৃক্ষটি পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন আর ছাদবাগান পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
বক্তারা আরও বলেন, ময়মনসিংহ শহরে উন্নত মানের চারার অভাব ছিল, যা বাগানিদের উৎপাদন কমিয়ে দিত। ইউএসএআইডি-এর এই উদ্যোগ স্থানীয় বাগানিদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং তাদের আয়ের স্তর উন্নত করবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় বাগানিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, যাতে তারা ছাদবাগানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও জানেন এবং দক্ষতা অর্জন করেন।
ময়মনসিংহ শহরের বাগানিরা এই উদ্যোগকে অত্যন্ত স্বাগত জানাচ্ছেন। স্থানীয় বাগানী এস এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে উন্নত চারা পাচ্ছিলাম না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের কাজ সহজ হবে এবং উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।
আরেক বাগানী ফারহানা আজাদ সোমা বলেন, আমরা খুবই খুশি যে উন্নতমানের ফল এবং সবজি চারা পাচ্ছি। এতে বাগানে ফলন বাড়বে এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।
আশিকুজ্জামান/এমবি