জবিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ছাত্র অধিকারের ৪ দফা
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৯
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বন্ধ ও নিরাপদ ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে ৪ দফা দাবি জানিয়েছে জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বরাবর পাঠানো চিঠিতে এই দাবি জানান তারা।
তাদের দাবি গুলো হলো-
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও উত্তেজনা দূর করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
২. শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করুন।
৩. যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিন।
৪. শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ নীতি গ্রহণ করুন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জবি শাখার কমিটিকে কেন্দ্র করে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল। ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন আমরা।’
‘শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ন্যায্য অধিকার। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক প্রভাব ও সংঘাতের কারণে আমাদের এই মৌলিক অধিকার ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ‘
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন, জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. নুহীন ফিল আল আমিন ও দপ্তর সম্পাদক কাজী আহাদ।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক উত্তেজনা শিক্ষার অন্তরায়। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা রাজনৈতিক কর্মীবান্ধব না হয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব হন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করছি এবং আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি এ বিষয়ে সচেতন আছে। এ ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।’
জান্নাতুন নাইম/এমজে