৪৩তম বিসিএস
৫ জানুয়ারির মধ্যে বাদ পড়াদের গেজেটভুক্তির দাবি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫৪
৪৩তম বিসিএসের নতুন প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়াদের চাকরিতে যোগদানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্যাডার বঞ্চিতরা৷ ৫ জানুয়ারির মধ্যে বাদ পড়া ক্যাডারদের নাম গেজেটভুক্ত করে পুনরায় গেজেট প্রকাশ ও ১৫ জানুয়ারি গেজেটভুক্ত সবার সাথে যোগদানের দাবি জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪৩তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রথম দফায় গেজেটভুক্ত ও দ্বিতীয় দফায় গেজেটবঞ্চিত ক্যাডার মাসুমা আক্তার।
এ সময় তারা একদফা দাবি পেশ করেন৷ তাদের দাবি হলো- ৫ জানুয়ারির মধ্যে ৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ক্যাডারদের নাম গেজেটভুক্ত করে ১৫ জানুয়ারি সকল ক্যাডারদের সাথে যোগদান নিশ্চিত করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা দীর্ঘ ৪ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অপেক্ষার শেষে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ সততা ও সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর সরকারি কর্মকমিশন কর্তৃক ২ হাজার ১৬৩ জন ২৬টি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হই।
উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে সুপারিশ প্রাপ্তদের কয়েক দফায় তদন্তের হলে ১০ মাস পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৫ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করে। গেজেটে যোগদানের তারিখ গত বছরের ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। পরে গেল ২৮ অক্টোবর যোগদান পিছিয়ে এ বছরের ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
অনেকেই পূর্বের কর্মস্থল ছেড়েছেন বা চাকরির সুযোগ পেয়েও যোগ দেননি উল্লেখ করে মাসুমা আক্তার বলেন, আমরা ১ জানুয়ারি যোগদানের নির্দেশনা পেয়ে আনন্দের সাথে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করি। আমাদের বহু সহকর্মী আগের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। এমনকি সুপারিশপ্রাপ্তির পরবর্তী সময়ে আমাদের অনেকেই সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একাধিক চাকরির সুযোগ লাভ করলেও যোগদান করেননি। এছাড়াও গেল ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায়ও অনেকেই অংশগ্রহণ করেননি।
লিখিত বক্তব্যে মাসুমা বলেন, কিন্তু প্রথম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হলেও ৩০ ডিসেম্বর পুনরায় প্রকাশিত গেজেটে ১৬৮ জনসহ সর্বমোট ২২২ প্রার্থী গেজেট থেকে বঞ্চিত হই। এমতাবস্থায়, অধিকাংশ প্রার্থী চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যাওয়ায় আমাদের এই ২২২ জন প্রার্থী এবং তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, চরম হতাশাগ্রস্ত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
গেজেটভুক্ত হয়েও পুনরায় প্রকাশিত গেজেট থেকে বাদ পড়া জুলাই স্পিরিটের পরিপন্থি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পথ ধরে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য তা পূরণে মেধা ও যোগ্যতা ভিত্তিক সিভিল সার্ভিসের বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা সুপারিশপ্রাপ্ত এবং গেজেটপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও পুনঃপ্রকাশিত গেজেটে অজ্ঞাত কারণে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের পরিপন্থি। যা একই সাথে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে ৪৩তম বিসিএসের গেজেটপ্রাপ্ত ও পুনঃপ্রকাশিত গেজেট বঞ্চিত প্রায় অর্ধশতাধিক চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএস/ওএফ