Logo

ক্যাম্পাস

রাবির তিন হলে কোরআন পোড়াল দুর্বৃত্তরা

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:১৮

রাবির তিন হলে কোরআন পোড়াল দুর্বৃত্তরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী  হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল এবং মতিহার হলে পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে প্রথমে জিয়া হলে, পরে মতিহার এবং আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে পবিত্র কোরআন পোড়ানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে জানায় শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মসজিদে এবং সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে কোরআন শরিফের প্রথম দুই-তিন পারা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ আমীর আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফিরোজ হাসান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই উসকানিমূলক একটা ঘটনা। কোনো একটা দল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং পরিস্থিতি ঘোলাটে করার উদ্দেশ্যেই এটা করেছে। আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’

এ বিষয়ে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হল সুপার আমাকে ঘটনার বিষয়ে জানায়। কোনো ধর্মের এমন অবমাননা করুক এটা আমরা সহ্য করব না। হল প্রশাসন একটা তদন্ত কমিটি গঠন করবে। এছাড়া আমি উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি তিনি ১২টায় একটা মিটিং ডেকেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো একটা মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। যারা ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।’

ঘটনার বিষয়ে মতিহার হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ যে আছে তার সাথে কথা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

তবে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।’

এফআর/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর