রাবিতে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গণতিলাওয়াত কর্মসূচি
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩০
ছবি : বাংলাদেশের খবর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদ ও আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে গণতিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ কমিউনিটি।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আরবি ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ।
গণতিলাওয়াত কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে উপউপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, ক্যাম্পাসের হল ও মসজিদে দুষ্কৃতিকারীরা কোরআনে আগুন দিয়েছে- এটা আমাদের কলিজাতে আগুন দেওয়ার শামিল এবং এর উদ্দেশ্য আমরা বুঝতে পারি। যারা এটা করে তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলুক এটা চায় না। আমাদের দেশটা ভালোভাবে চলুক তারা সেটা চায় না।
তিনি আরও বলেন, আগস্ট বিপ্লবের পরে একটা পরাজিত শক্তি মাথা লুকিয়ে আছে, তারা তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করে নাই। তারা চায় আমাদের ক্যাম্পাসগুলো অচল হয় যাক, আমাদের হানাহানি শুরু হয় যাক, আমাদের দেশটা অচল হয়ে যাক। আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি- এ ধরনের কোরআন পোড়ানোর ঘটনা এরকম চক্রান্তরেই অংশ বিশেষ। দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়ার জন্য যে ধরনের চক্রান্ত করেছিলো সেটা শিক্ষার্থীরা চমৎকার গঠনমূলক প্রতিবাদ করে তাদের সেই চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও দাওয়াহ কমিটির সদস্য শোয়েবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের এটা একটা গঠনমূলক প্রতিবাদ। আমরা চাইলে অন্যভাবে প্রতিবাদ করতাম। কিন্তু আমাদের ইসলাম এটা আমাদের শেখায় নাই। আমরা একটা বিষয় খেয়াল করে দেখেছি- এখন ইসলামবিদ্বেষী শক্তিরা তৎপর হয়ে উঠছে। চট্টগ্রামে দেখছি- আলিফ ভাইকে হত্যা করেছে, রাবিতে কোরআন পোড়াইছে। এখানে একটা লিংক আপ আছে। বাংলাদেশে অধিকাংশ জনগণ মুসলমান। তাদেরকে উস্কানি দেওয়ার জন্যই এমন কাজ তারা করছে। আমরা যারা আছি তারা অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি এখানে। তারা যে কাজটা করেছে দাঙ্গা বাধানোর জন্যই করেছে, কিন্তু আমরা সেটা সহনশীলভাবে প্রতিহত করছি। আমরা আশা করি- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও দেশের সরকার যারা আছে, তারা যেন এটার সুষ্ঠু বিচার করে।’
গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল এবং মতিহার হলে কোরআনে আগুন দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর শহীদ হবিবুর রহমান হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন পুড়িয়ে দেওয়ারও প্রমাণ মেলে। এই ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপ আজ শিক্ষার্থীরা গণতিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করেন।
এইসকে/বিএইচ