Logo

ক্যাম্পাস

বাংলাদেশে কৃষি সুরক্ষা নিয়ে গবেষণায় বাকৃবি ও মারডক বিশ্ববিদ্যালয়

Icon

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৮

বাংলাদেশে কৃষি সুরক্ষা নিয়ে গবেষণায় বাকৃবি ও মারডক বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশের মাটি ও পানি সম্পদের উপর কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয় (এমইউ)।

 বাংলাদেশে সংরক্ষণমূলক কৃষি গ্রহণে সহায়তা এবং মাটি ও পানির গতিশীলতার পরিবর্তন (সাকা) শীর্ষক চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর) ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে প্রধান গবেষক বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি হলো টেকসই চাষাবাদের একটি আধুনিক পদ্ধতি, যা মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, উৎপাদন বৃদ্ধি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক। এতে তিনটি মূলনীতি অনুসরণ করা হয়-ন্যূনতম জমি চাষ, ফসল আবরণের ব্যবহার এবং ফসল বৈচিত্র্য বজায় রাখা। এ পদ্ধতি মাটির জৈব উপাদান বৃদ্ধি, ক্ষয় রোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।’

গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর জানান, বাংলাদেশের মাটি ও পানির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিশ্লেষণের পাশাপাশি কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি গ্রহণের মূল সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করাই এই গবেষণার লক্ষ্য। পাশাপাশি, এ পদ্ধতির সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত নির্ধারণ করাও গবেষণার অংশ।

মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল ও ড. ডাভিনা বয়েড প্রকল্পটির প্রজেক্ট লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসনীন জাহান কৃষি অর্থনীতি বিষয়ক প্রধান গবেষক হিসেবে যুক্ত আছেন।

ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর হলেও তা দ্রুত উর্বরতা হারাচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে মারডক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছে। নতুন এই প্রকল্পটি মাটি ও পানির গতিশীলতার পরিবর্তন এবং সংরক্ষণমূলক কৃষি প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ৮টি পিএইচডি ফেলোশিপ ও ৪টি মাস্টার্স ফেলোশিপের সুযোগ থাকবে, যেখানে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। এতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা, শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি হবে বলে মনে করছেন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর।

এ প্রকল্পে বাংলাদেশের অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানও যুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), সংরক্ষণমূলক কৃষি সেবা প্রদানকারী সংস্থা (ক্যাসপা) এবং পিআইও কনসাল্টিং লিমিটেড।

মো. আশিকুজ্জামান/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর