ঢাবিতে ছাত্রফন্টের সভার আওয়াজে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, ২৬ মাইক বন্ধ

ঢাবি প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:০১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে মাইকের আওয়াজে অতিষ্ঠ ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ২৬টি মাইক বন্ধ করতে বাধ্য হয় তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠানে রাজু ভাস্কর্য থেকে ভিসি চত্বর, শহীদ মিনার ও শাহবাগ পর্যন্ত ২৬টি মাইকে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় শাখা (বাসদ)। এ সময় সংগঠনটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাইকগুলো বন্ধ করে দিচ্ছি তবে আমাদের অনুষ্ঠান চলমান থাকবে।
এর আগে, সকাল থেকে মাইকের আওয়াজ শুরু হয়। এতে বিপদে পড়েন গ্রন্থাগারে পড়ুয়া এবং টিএসসি সংলগ্ন রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
এদিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিশাল জায়গা নিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় টিএসসিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় অসুস্থ রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকেও আটকে থাকতে দেখা যায়।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মাইক বন্ধ করতে আসা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, সকালে লাইব্রেরিতে এসে মাইকের তীব্র আওয়াজে কোনোভাবেই পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। শব্দ এতো তীব্র যে মনে হচ্ছে যেন লাইব্রেরির ভেতরেরই প্রোগ্রাম হচ্ছে। শব্দে রীতিমতো লাইব্রেরির গ্রাসগুলো কাঁপছিল। অনেকের পরীক্ষা চলমান, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, ক্লাস পরীক্ষা চলাকালীন এভাবে এত বিকট শব্দে অনুষ্ঠান করার অনুমতি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেয় তা ভাববার বিষয়। যেখানে আজকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রয়েছে এবং অনেকের ক্লাস পরীক্ষা চলছে। আয়োজকদের ন্যূনতম কমনসেন্সটুকু পর্যন্তও নাই।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদকে কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
- এমএমআই/ওএফ