ঢাবিতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনার

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৪

ছবি : বাংলাদেশের খবর
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ।
সেন্টার ফর রিসার্চ ইন মাল্টিডিসিপ্লিন (সিআরএম), ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি (ডিইউআরএস) এবং সেন্টার ফর সাইকোলজিক্যাল হেলথ (সিপিএইচ)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘Addressing Psychological Problems among Undergraduate and Post-graduate students after July-August movement in Bangladesh’ শীর্ষক এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
বৈজ্ঞানিক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহ্জাবীন হক। এতে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর সাইকোলজিক্যাল হেলথ-এর পরিচালক নাজমুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম আবুল কালাম আজাদ, বিএসএমএমইউ-এর মনোরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সেলিনা ফাতেমা বিনতে শহীদ, সাইকোলজি এন্ড রিসার্চ অ্যাকাডেমির পরিচালক মো. ওমর ফারুক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
সেমিনারে কানাডা প্রবাসী মনোবিজ্ঞানী সাদিয়া শারমিন উর্মি ও সিআরএম-এর প্রতিষ্ঠাতা মাহাদী-উল-মোর্শেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের ইনোভেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইং-এর সেক্রেটারি নিশিতা জামান নিহা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীরা যে সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে, তা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিগগিরই সামাজিক অস্থিরতা দূর করা সম্ভব হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের মানসিক সহায়তায় ছাত্র-শিক্ষক আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, গবেষণায় দেখা গেছে, আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক ট্রমার লক্ষণ স্পষ্ট। বিশেষ করে যারা অন্তত পাঁচ দিন আন্দোলনে অংশ নিয়েছে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী অঞ্চলের ১৭-১৮ বছর বয়সী ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তাদের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষার্থীদের মানসিক সহায়তা প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পরিবার ও সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এমআই/এমবি