Logo

ক্যাম্পাস

৬ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে কুয়েট শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫১

৬ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে কুয়েট শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কুয়েটের ৮০ সদস্যের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কুয়েট থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা কুয়েটে হামলার ঘটনায় বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য দেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে রওনা দেন। পরে বিকাল ৪টায় তারা ফিরে এসে পুনরায় সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ‘রাষ্ট্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে, তাই তারা আশাবাদী যে তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে। দাবিগুলো মানা না হলে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।’

তারা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাবেন না। পাশাপাশি, তারা বলেন, চারজনকে গ্রেপ্তার করেই দায় এড়ানো যাবে না।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, তাদের ওপর নানা ধরনের হামলা চালানো হয়েছে এবং ঘটনাগুলো ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা জোর দিয়ে বলেন, ‘কুয়েটে রাজনীতি বন্ধ থাকবে এবং ৫ হাজার শিক্ষার্থী তাদের জীবন দিয়ে হলেও ক্যাম্পাসে রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না।’

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি
১. ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ‘ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপি কর্তৃক পরিকল্পিত’ হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি প্রবেশের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

২. হামলার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থী ও তাদের প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কুয়েট প্রশাসনকে হত্যা চেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে। দোষীদের বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।

৩. ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে।

৪. ১৮ ফেব্রুয়ারির হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় কুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে। আহতদের তালিকা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

৫. স্থানীয় ‘বিএনপি কর্তৃক কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার’ ঘটনার বিষয়ে কুয়েট প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে হবে।

৬. উপরের সকল দাবি পূরণ করে ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি কুয়েটের উপাচার্য (ভিসি), প্রো-ভিসি এবং পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) পদত্যাগ করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফিরবেন না।

  • এমএএস/এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর