রাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৫

ছবি : বাংলাদেশের খবর
দেশের চলমান খুন, ছিনতাই, ধর্ষণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কোনো পদক্ষেপ না থাকায় ও সংবাদ সম্মেলনে শিশুসুলভ আচরণ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করেন।
এ সময় তাদের স্লোগানগুলো ছিল— ‘ধর্ষকদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের দেবো না’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘আমরা আছি থাকবো, যুগে যুগে লড়বো’।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি মারুফ বলেন, আপনারা যদি কাজ করতে না পারেন তাহলে আমরা এ ধরনের এনজিও মার্কা সরকার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকার চাই না। দেশে একটা ইনক্লুসিভ সরকার গঠন করুন। যদি আপনারা তা করতে ব্যর্থ হন, তবে আপনাদের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। প্রয়োজনে ছাত্র সমাজ দায়িত্ব গ্রহণ করবে। আমরা যেমন ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনাকে তাড়াতে পেরেছি, আপনাদের সরাতেও বেশিক্ষণ সময় লাগবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রসনজিৎ সরকার বলেন, দেশে এক অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কোনো কাজই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তিনি কাঠের পুতুলের মতো গদিতে বসে আছেন। আমাদের সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। কিন্তু তিনি রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে শিশুসুলভ কথাবার্তা বলেছেন। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই।
পার্সিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াজেদ শিশির বলেন, ছাত্রজনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল দেশের আইনশৃঙ্খলাসহ সকল মন্ত্রণালয়ের সংস্কার করার জন্য। কিন্তু আমরা তার বিপরীত দিকটা দেখতে পাচ্ছি। ছিনতাই, ধর্ষণ এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলে দিতে চাই, এ গদি তার বাবার না। তিনি যদি তার দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে ছাত্র-জনতার ওপর ছেড়ে দিন।
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, যেই নারীরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই নারীদের ধর্ষকরা কুদৃষ্টি দিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। আর আমরা চোখ বুজে বসে আছি। আমাদের উপদেষ্টা মণ্ডলী চেয়ারে বসে আমাদের সুশীলগিরি দেখায়। তাদের বলে দিতে চাই, ‘সুশীলগিরির দিন শেষ, বিচার চায় বাংলাদেশ’। আজকের পরিবর্তিত বাংলাদেশে সকল প্রকার গুম, খুন, রাহাজানি, নির্যাতন, চাঁদাবাজির ঠাঁই নেই।
পিটার মিখাইল/এমবি