ধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:২৬
-67bc8fb4b643d.jpg)
সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন এবং নিরাপত্তা বিঘ্নের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে একটি মশাল মিছিল বের করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে/আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘অবিলম্বে জাহাঙ্গীরকে/পদত্যাগ করতে হবে’, ‘পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে/আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘এক, দুই, তিন, চার/জাহাঙ্গীর গদি ছাড়’, ‘রাষ্ট্র আমার নিরাপত্তা দে/নইলে গদি ছেড়ে দে’, ‘জাহাঙ্গীরের গদিতে/আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘ধর্ষক রাষ্ট্রের গদিতে/আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘বাহ, পুলিশ চমৎকার/ধর্ষকদের পাহারাদার’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন/জবাব চাই দিতে হবে’, ‘আমরা কী চাই/আজাদী! আজাদী!’, ‘ধর্ষণ থেকে আজাদি’—সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে দিয়ে মেয়েদের সবগুলো হল প্রদক্ষিণ করে বটতলা এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ জেনিচের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
এ সময় বাংলা বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনীষা হক বলেন, আমরা সবাই মিলে যে আবেগ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, বর্তমানে আমরা সেই আবেগের বাস্তবায়ন দেখছি না। আজ ঘর থেকে রাস্তা পর্যন্ত কোথাও আমরা নিরাপদ নই। প্রশাসনের যদি এখনো টনক না নড়ে, তবে যেভাবে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছিলাম, ঠিক একইভাবে এই সরকারেরও পতন ঘটানো হবে। আমাদের নিরাপদ করুন, অথবা আপনাদের গদি ছেড়ে দিন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি (একাংশ) অমর্ত্য রায় বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দেখেছি, শ্রমিকদের আন্দোলনকে আওয়ামী দোসর বলে চালিয়ে দেওয়া হলো। দেশে যখন ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি বেড়ে গেল, তখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন— এগুলো নাকি আওয়ামী লীগের দোসররা করছে। যদি আওয়ামী লীগের দোসররাই এসব ঘটায়, তাহলে আপনারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন?
তিনি বলেন, সাত মাসে আমরা দেখেছি, এই সরকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কিছু করতে পারেনি। আমরা বাসে, ট্রেনে আমাদের বোনদের যে নিরাপত্তা চেয়েছিলাম, সেই নিরাপত্তার কোনো লেশই দেখতে পাচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ কারণে বলতে চাই— ৫ আগস্টে আমাদের যে শপথ ছিল, স্বৈরাচার হাসিনাকে হটানোর, সেই একই শপথ আমাদের তৈরি হচ্ছে এই ইউনুস সরকারকে থামানোর জন্য। আমরা অবিলম্বে এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আরও কার্যকর হতে হবে।
আমানউল্লাহ খান/বিএইচ