সেমিনারে বক্তারা
দেশে ওষুধ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩৫

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণার ওপর ভিত্তি করে ড্রাগ আবিষ্কার ও ওষুধের পুনর্নির্মাণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ‘আমাদের দেশে ওষুধ গবেষণায় এক নতুন যুগের সূচনা হলো। সাম্প্রতিক গবেষণায় রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিকাল গবেষণার সমন্বয়ে ড্রাগ আবিষ্কার ও পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়ায় বিপ্লব ঘটেছে। বিজ্ঞানীদের এই উদ্যোগ রোগ নিরাময়ের নতুন পথ উন্মুক্ত করার পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি করবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রহমান।
প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুবুল হক (অব.)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিইউ'র ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর আব্দুর রহমান বলেন, ‘গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো রোগ প্রতিরোধে আরও কার্যকর এবং নিরাপদ ওষুধ উদ্ভাবন করা। উন্নত রাসায়নিক বিশ্লেষণ, জৈবিক প্রযুক্তি এবং ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সমন্বয়ে নতুন ওষুধ তৈরি প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত ও নির্ভুল করে তুলেছে। এই উদ্ভাবনগুলো জেনেটিক, ভাইরাল এবং সংক্রামক রোগগুলোর চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এমন ওষুধ তৈরি করা, যা রোগ নিরাময়ে আরও কার্যকর হবে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হবে। ওষুধ পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে পুরনো ওষুধগুলোকেও নতুনভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।’
সেমিনারে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
- এমজে