ইবি শিক্ষার্থীদের সাথে বাস হেল্পারের দুর্ব্যবহার
বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির বৈঠক আজ

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩১
-67be8b072b84d.jpg)
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে বিআরটিসি বাসের হেল্পারদের দুর্ব্যবহারের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি বাস আটক করে শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি সেল ও পরিবহন অফিসের কর্মকর্তারা বিষয়টি সমাধান করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, ‘সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসের সামনে থেকে বাসে ওঠার সময় ব্যাগ ও মালামালের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে বাসে ওঠার পর হেল্পাররা অতিরিক্ত টাকা দাবি করে।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত একশো টাকা দিতে চাইলেও হেল্পার তা নেননি। পরে বাসের মধ্যে একাধিকবার অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার পাশাপাশি দুর্ব্যবহার করেন। বাস থেকে নামার সময় ২০০ টাকা দিতে হলেও হেল্পার আমাদের ব্যাগ ও মালামাল নামিয়ে না দিয়ে খারাপ ব্যবহার করে। পরে নিজেদের মালামাল খুঁজতে গিয়ে কষ্ট পেতে হয়, তখনও দুর্ব্যবহার করা হয়। ভবিষ্যতে যেন কোনো শিক্ষার্থী এ ধরনের হয়রানির শিকার না হন— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এ বিষয়ে বাসের সুপারভাইজার এরশাদ জানান, ‘আমি আগে জানতাম না। শিক্ষার্থীরা বাস থেকে নামার পর ফোনে বিষয়টি জানতে পারি। এরপর আমি হেল্পারকে চড়থাপ্পড় দিয়েছি এবং আমি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার হাফিজুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। বুধবার দুপুরে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষের বৈঠক হবে।’
ইবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান জানান, বুধবার দুপুর ২টায় প্রক্টর অফিসে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে। এর আগে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল, যেখানে তারা আশ্বাস দিয়েছিল— শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু কেন আবার এমন ঘটনা ঘটল, তা বৈঠকের পর জানা যাবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধে করণীয় নিয়েও আলোচনা করা হবে।