-67c1694142b83.jpg)
হাতিরঝিলের বি.এম. জনপ্রশাসন ভবনের ৪০৭ নম্বর রুমে এসি বিস্ফোরণে আব্দুল মালেক খান (৪০) নামে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক অফিস সহায়ক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গাড়িচালক মো. ফারুক (৪০) সামান্য আহত হন।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল মালেক খানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মো. মনিরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় আব্দুল মালেক খানকে উদ্ধার করা হয় এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মালেক খানের ছোট ভাই সোহেল খান জানান, তার বড় ভাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন এবং রাতে অফিসেই ঘুমাতেন।
তিনি আরও বলেন, রাতের কোনো এক সময় ঘুমন্ত অবস্থায় এসি বিস্ফোরণে তার বড় ভাই গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় ড্রাইভার ফারুক সামান্য আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, তার ভাই ঘুমাতেন ৫০৪ নম্বর রুমে। আজ (গতরাতে) ৫০৭ নম্বর রুমে ঘুমানো এবং ওই রুমে বিস্ফোরণে ড্রাইভার (ফারুক) সামান্য আহত হলেন, আর তার ভাই মারা গেলেন, বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে ফারুকের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন, তারা দুইজন (নিহত মালেক) একই রুমে ঘুমিয়েছিলেন। তবে ঘুম ভেঙে ফারুক তার ভাই মালেককে রুমে দেখতে পাননি। পরে ফারুকই তাকে দুর্ঘটনার খবর জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি থাকি কামরাঙ্গীরচরে। সেখান থেকে এসে ভাইকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি জানান, ঐ অফিসেই তার বড় ভাই নিহত মালেক খান পিয়ন পদে তার চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিনি সেখানিই চাকরি করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা অবগত রয়েছে।
আব্দুল মালেক খান বাউফল উপজেলার কাছি পাড়া গ্রামের মৃত আলী খানের ছেলে।
এআই/এমএইচএস