Logo
Logo

রাজধানী

মালিককে হত্যা করে বস্তায় ভরে কর্মচারী মিরাজ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৮

মালিককে হত্যা করে বস্তায় ভরে কর্মচারী মিরাজ

ছবি : প্রতিনিধি

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাসাননগর এলাকার ছাপাখানা ব্যবসায়ী নূর আলম হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতদেহ খণ্ড দুটি পলিথিন ও কাপড়ে পেঁচিয়ে বস্তায় ভরে মাটি চাপা দেয় ওই ব্যবসায়ীর দোকানের কর্মচারী মিরাজ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মিরাজ মিয়া (২০), শিপন ওরফে সম্রাট (২৫) ও রিফাত (১৯)। এসময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, একটি কাঁচি ও দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়। 

জানা গেছে, নূর আলম কামরাঙ্গীরচর থানার হাসাননগর ভান্ডারী মোড়ে ফেব্রিক্সের ব্যবসা করতেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নূর আলম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রামের বাড়িতে যাবে জানিয়ে স্ত্রীকে ফোন করেন। এসময় তার স্ত্রী কয়েকজন লোকের সাথে বাকবিতণ্ডার কথা শুনতে পান। এরপর থেকে তার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায় এবং এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিখোঁজের বিষয়টি নূর আলমের জামাতা আতাউল্লাহ খান সজিব কামরাঙ্গীরচর থানাকে অবহিত করেন। 

থানা সূত্র আরও জানায়, নিখোঁজের ঘটনা অবহিত হওয়ার পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের তদন্তে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নূর আলমের ছাপাখানা থেকে কর্মচারী মিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই দিন কামরাঙ্গীরচরের ঝাউরাহাটি থেকে রিফাতকে ও কোতয়ালী থানার সদরঘাট এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে শিপন, মিরাজ, রিফাত ও পলাতক জিহাদসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের সহায়তায় ওই ব্যবসায়ীর মাথায় হাতুড়ি ও চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করে এবং মৃতদেহ বাথরুমে নিয়ে দুই খণ্ড করে। মৃতদেহ যাতে কেউ খুঁজে না পায় সেজন্য মৃতদেহের খণ্ড দুটি পলিথিন ও কাপড়ে পেঁচিয়ে বস্তায় ভরে ছাপাখানার ভেতরে টেবিলের নিচের মেঝে ভেঙ্গে মাটি চাপা দেয়। এরপর জায়গাটি বালু ও সিমেন্ট দ্বারা ঢালাই করে।  

পরে পুলিশ ছাপাখানার সেই মেঝের ঢালাই ভেঙ্গে নূর আলমের খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার ও হত্যায় ব্যবহৃত হাতুড়ি ও চাকু এবং অন্যান্য আলামত জব্দ করে। 

এ ঘটনায় নিহতের জামাতা আতাউল্লাহ খান সজিব বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় গত ১০ ডিসেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বাংলাদেশের খবর‘কে বলেন, ‘এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এমএম/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর