পল্লবীতে ছাত্র-জনতার উপর হামলা, আ.লীগের ৫ জন গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩৭
রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পল্লবী থানার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন (৩৫), পল্লবী থানার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সাজু (৩৪), পল্লবী থানার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক সৈকত ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগ কর্মী বাচ্চু বেপারী (৬০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী রাজু (৫২)।
পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত আকরামের পিতা ফারুক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
থানা সূত্র আরও জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় গতকাল শুক্রবার রাতে মিরপুর ১১ এলাকা থেকে মামুন ও সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্লবী থানা পুলিশ আরও জানায়, গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সাথে আন্দোলনে যোগ দেন আবিদ। আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আবিদের ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর আরেকটি করা হয় থানায়। এ মামলায় গতকাল শুক্রবার রাতে আদর্শ নগর এলাকা থেকে সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাংলাদেশের খবরকে জানান, পল্লবী থানার পৃথক পৃথক মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমএম/ওএফ