Logo
Logo

রাজধানী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০১

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো ও হত্যা মামলার আসামি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন। মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) ১২টার দিকে সবুজবাগ থানাধীন নন্দীপাড়া ব্যাংক কলোনি মসজিদ এলাকায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে আটকের পর সবুজবাগ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে গ্রেপ্তার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ। খিলগাঁও থানার ২৮ নম্বর হত্যা মামলার ১৬৯ নম্বর আসামি স্বপন। একই মামলার ১৭১ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগের অর্থদাতা হিসেবে পরিচিত হারুনুর রশীদও ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং চাঁদা দাবি করেন। যদিও জনতার রোশানল ও পুলিশ আসার খবরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সালাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা তার জমিতে সীমানা প্রাচীর তোলার সময় দলবল নিয়ে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় স্বপন। ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নির্মাণকাজও বন্ধ করে দেয় তারা। স্বপন-হারুন দুজনই শেখ হাসিনার সেই আলোচিত হেলিকপ্টার পিয়ন জাহাঙ্গীরের আত্মীয় ও ঈসমাইল হোসেন সম্রাটের অনুসারী। জমির মালিক ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন বলেন, চাঁদা না পেয়ে স্বপন-হারুনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা করে। হামলার একপর্যায়ে স্থানীয়রা স্বপনকে আটক করতে পারলেও হারুনুর রশীদ ও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় তাদের মারধরও করা হয়। 

স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী সরকার আমলের শুরু থেকেই তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর ক্ষিপ্তও ছিলেন তারা। কথায় কথায় মানুষের বিরুদ্ধে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করতো স্বপন-হারুন। তাদের বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতা, চাঁদাবাজি, মামলাবাজি ছাড়াও এহেন কোনো অভিযোগ নেই; যা তারা করেনি। পিস্তল ঠেকিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যবসা লিখে নেয়ার চেষ্টা, চাঁদা আদায়, হত্যার হুমকি দেওয়াই ছিল তাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বাংলাদেশের খবরকে বলেন,  চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তার পেটে পিস্তল ঠেকিয়েছিল স্বপন। হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা পরিশোধের দিনকক্ষণও নির্ধারণ করে দেয় স্বপন। ওইদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও পরে স্বপরিবারে এলাকা ছেড়েছিলেন সেই ব্যবসায়ী। তিনি জানান, পরবর্তীতে ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরেছেন তিনি। 

জানতে চাইলে খিলগাঁও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, সবুজবাগ এলাকা থেকে স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয়রা আটক করে থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে স্বপন। 

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই শুক্রবার বাদ জুম্মা খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত মিছিলে অংশ নেয় আহাদুল ইসলাম। সেই মিছিলে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন আহাদুল। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্বপন-হারুণরা তাকে সেখানেই পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ফেমাস হাসপাতালের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৮০ জনকে আসামি করা হয়। 

এনএমএম/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর