গাড়িচালককে মারধর : ইসি সচিবের কক্ষের সামনে হট্টগোল

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৮
-679220dcee101.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে এক গাড়িচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের বিচার চেয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কক্ষের সামনে চালকের সহকর্মীদের হট্টগোল করার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টা নাগাদ আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিটিং শেষে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব এসে তাঁদের বিচারের আশ্বাস দিলে সেখান থেকে সবাই চলে যান। এর আগে মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অফিসটির গাড়িচালক রবিন ইসলাম মদুদ লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আনুমানিক ৩টা ৩৫ মিনিটে তাকে অফিস সহায়ক উশা আফরিনকে দিয়ে অফিসে ডেকে নেন হুমায়ুন কবির। সেখানে ওই সময় দুজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা গাড়িচালকের কাছে গাড়ির চাবি ও গাড়ি চাইলে তিনি লিখিত আকারে বুঝে নিতে বলেন।
এক পর্যায়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা গাড়িচালক মদুদের দিকে তেড়ে আসেন। সেখানে উপস্থিত খুলনা সদর থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস ইশারা করে তাকে চাবি দিয়ে দিতে বললে তিনি নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুনের কাছে চাবি দিয়ে দেন। এরপরও হুমায়ুন চাবি নিয়ে উত্তেজিত হয়ে আমার মুখের উভয় পাশে এলোপাতাড়ি চর ও ঘুসি মারেন। পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। মনোরঞ্জন বিশ্বাস তার হাত ধরে ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাঁর ওপরেও চড়াও হন এবং তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, এক পর্যায়ে দরজা খুলে বের হতে গেলে পেছন থেকে তাকে ধরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় আঘাত পেয়ে গাড়িচালক মদুদের দাঁত ভেঙে যায়। পরে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসারত অবস্থায় তাকে ফোন কল দিয়ে অফিসে ডেকে নিয়ে বদলির চিঠি ও অবমুক্তের আদেশ হাতে দিয়ে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরকে একাধিক বার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এসআইবি/এমআই