জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, স্ত্রীসহ আটক ৩
আশুলিয়া (সাভার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জীবিত স্বামী আল-আমিনকে মৃত দেখিয়ে ১৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন কুলসুম নামের এক নারী। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার বাদীসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের আলেকজাহান এসএম পাড়ার একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
আটকৃতরা হলেন,মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার টেপড়া গ্রামের মেছের আলীর ছেলে শফিকুর রহমান, একই জেলার ঘিওর থানার ফুলহারা গ্রামের মৃত মাসুম আলীর ছেলে রুহুল আমীন ও মামলার বাদী কুলসুম বেগম।
কুলসুম আক্তারের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার সিংজুরী গ্রামে। স্বামী আল আমিনকে হত্যার অভিযোগ এনে গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তিনি। পরে ১৩ নভেম্বর আল আমিন মৌলভীবাজারের জুড়ি থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
পুলিশ জানায়, আল আমিন গত ৫ আগস্ট নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে কুলসুম ১৩০ জনের নামে আদালতে মামলা করার পর ৮ নভেম্বর সেটি ঢাকার আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত হয়। পরে জুড়ি থানায় যোগাযোগের পর আল আমিনকে আশুলিয়া থানায় আনা হয়।
মামলার বাদী কুলসুম বেগম বলেন, ‘শফিকুর রহমান চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার জন্ম নিবন্ধন নেয়। পরে (আমার স্বামী) আল আমিনকে সাথে নিয়ে মামলা প্রস্তুত করে। আমি রাজি না হলে তারা আমাকে নানারকম ভয়ভীতি দেখায়। আমাকে ব্ল্যাকমেল করে যা-তা করাতে বাধ্য করেছে।’
স্বামী জীবিত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে কুলসুম বলেন, ‘ আল-আমিনই আমার স্বামী। তিনি বেঁচে আছেন। আমাকে ব্ল্যাকমেল করে মিথ্যা মামলার বাদী বানিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় বাদীসহ তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এইচকে/এটিআর