-67c131a40aae4.png)
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় দুই মাসের জন্য জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা (১ মার্চ) থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। এ সময় জেলার প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। সরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রায় ৪৩ হাজার জেলে এই সময়ে মাছ ধরতে পারবেন না।
জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার বিভিন্ন জেলে পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ জেলে তাদের নৌকা ডাঙায় তুলে রেখেছে এবং অনেকে জাল মেরামতের কাজে ব্যস্ত।
বহরিয়া এলাকার জেলে শাহাজাহান ব্যাপারী বলেন, ‘যদি আমরা জাটকা সংরক্ষণ করতে পারি, তাহলে ইলিশের উৎপাদন নিশ্চিতভাবেই বাড়বে। তবে কিছু অসাধু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরে, যা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।’
হরিণা ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, ‘নদীতে ইলিশের পরিমাণ কমে গেছে। যদি আমরা সবাই মিলে জাটকা সংরক্ষণে কাজ করি, তাহলে ইলিশের অভাব কিছুটা হলেও কমবে।’
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলের জন্য ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত চাল এসেছে। এসব জেলেদের জন্য ৪০ কেজি করে (বিজিএফ) চাল ৪ মাস বিতরণ করা হবে।’
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘জাটকা সংরক্ষণ চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় নৌপুলিশের প্রতিটি ইউনিট দিন ও রাতে কাজ করবে। কোনো জেলে আইন অমান্য করে জাটকা নিধন করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে আমরা জেলেদের সাথে কথা বলে সতর্ক করে দিয়েছি।’
আলআমিন ভূঁইয়া/এটিআর