ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯

অভিযুক্ত মমতাজ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র-এর পরিদর্শিকা মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মমতাজ বেগম সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদান না করে গরিব রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নর্মাল ডেলিভারি রোগীদের জন্য সরকারি বিধি অনুযায়ী ফ্রি চিকিৎসা সেবা থাকার পরও রোগীদের কাছ থেকে ৪-৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি একজন ডিপ্লোমাধারী ডাক্তার না হয়েও রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। ফি নিচ্ছেন ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ লিখছেন তিনি, যা একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককেও সতর্কতার সাথে লিখতে হয়।
এদিকে ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য রোগীদেরকে ছেলের ফার্মেসিতে পাঠান মমতাজ। এমনকি বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে কমিশন লাভেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মমতাজ বেগম এখানে যোগদানের পর থেকেই রোগী দেখছেন এবং প্রেসক্রিপশন লিখছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে ১-২ শ’ টাকার পাশাপাশি ডেলিভারি রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে মমতাজ বলেন, ‘আমি একজন ভিজিটর, আমার রোগী দেখার অধিকার আছে, অ্যান্টিবায়োটিক লিখতে আমার কোনো বাধা নেই।’
তবে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী সোনিয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘পরিদর্শিকা হিসেবে তিনি রোগী দেখার অধিকার রাখেন না এবং অ্যান্টিবায়োটিক লিখতে পারবেন না।’
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শাহিন হাসান বলেন, ‘আমি তাকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেছি। পরবর্তী তিনমাস পর্যবেক্ষণ করা হবে, যদি পুনরায় অভিযোগ আসে, তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
মো. নাজমুল ইসলাম পিন্টু/এটিআর