দুই দশক ধরে বেদখল, ‘ঢোল পিটিয়ে’ জমি বুঝিয়ে দিলেন আদালত

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৪৩

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করে দুই দশক পর ঢোল পিটিয়ে জমির প্রকৃত মালিককে দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার শিরগ্রাম বাজারে বেদখল জমি পরিমাপ করে লাল নিশানা টাঙিয়ে দেন আদালতের পক্ষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এরপর অবৈধ দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। শেষে উদ্ধার হওয়া জমি ঢোল পিটিয়ে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার উত্তর শিরগ্রাম মৌজায় ১৩৮.২৫ শতাংশ জমি নিয়ে গোবিন্দ চন্দ্র সাহা গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই এলাকার কাজী হারুন অর রশীদ নামে এক ব্যক্তি। এ মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২৩ সালে আদালত বাদী কাজী হারুন অর রশীদের পক্ষে ডিক্রি ঘোষণা করেন। এরপর চলতি বছর কাজী হারুন অর রশীদের পক্ষে আদালত ফের চূড়ান্ত ডিক্রি ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিক্রির প্রেক্ষিতে আদালত কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে ওই জমিতে গিয়ে লাল নিশান টাঙিয়ে ঢোল পিটিয়ে তাকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন।
এ সময় আদালতের পক্ষে জেলা জজ আদালতের নাজির এ কে এম রফিকুদ্দিন, প্রোসেস সার্ভেয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কমিশনার স্বপ্নন কুমার মজুমদার, আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক বিশ্বজিত কীর্ত্তনীয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল।
জানতে চাইলে জমির মালিক কাজী হারুন অর রশীদের পুত্র কাজী শহিদুল ইসলাম সজল বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর আইনের সহায়তায় আমাদের বেদখল জমি বুঝে পেলাম। এভাবে জমি পাওয়ায় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা বহুগুণে বেড়ে গেছে।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা জজ আদালতের নাজির এ কে এম রফিকুদ্দিন বলেন, ‘জমি ফিরে পেতে কাজী হারুন অর রশীদ আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে জমির মালিক হিসেবে তার পক্ষে আদালত রায় ঘোষণা করেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে প্রকৃত মালিক কাজী হারুন অর রশীদকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এমজে