Logo

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী দিবস পালিত

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৩

কুড়িগ্রামে ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী দিবস পালিত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী দিবস পালিত হয়েছে। এ বছর ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী যুদ্ধের ২৪ বছর পূর্তি হয়েছে।

সীমান্ত যুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সরকারিভাবে দিবসটি পালিত না হলেও স্থানীয়রা প্রতি বছর দিবসটি পালন করেন। এবার অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের ব্যানারে পালিত হয়েছে দিবসটি।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত দিয়ে রাতের আধাঁরে ভারী অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভারতের কাকরীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। 

ওই সময় তারা বড়াইবাড়ী ক্যাম্প ও বড়াইবাড়ী গ্রাম দখলের চেষ্টা করলে তৎকালীন বিডিআর জোয়ান ও গ্রামবাসীর প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। বিএসএফ পুড়িয়ে দেয় বড়াইবাড়ী গ্রামের ঘর-বাড়ি। ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত চলে সম্মুখ যুদ্ধ। এতে প্রাণ হারায় ৩ জন বিডিআর জোয়ানসহ ১৬ বিএসএফ সদস্য। পরে তৎকালীন বিডিআর ও গ্রামবাসীর তুমুল প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয় বিএসএফ সদস্যরা।

দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের পাশাপাশি যুদ্ধে হতাহতদের তালিকা তৈরি করে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান স্থানীয় ও সাবেক বিডিআর কর্মকর্তারা। বড়াইবাড়ী যুদ্ধে নিহতরা হলেন- ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদ মিয়া, সিপাহি মাহফুজুর রহমান ও সিপাহি আব্দুল কাদের।

সাবেক এমপি রুহুল আমিন জানান, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভোরে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশের খবর পায়। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে বিডিআরের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। এ সময় বিএসএফের দুই সদস্যকে আটক করে গ্রামবাসী। যুদ্ধে বাংলাদেশের তিন বিডিআর সদস্য নিহত হয়েছে। 

তিনি বলেন, এরপর থেকে আমরা প্রতি বছর দিবসটি পালন করে আসছি। আমাদের দাবি, যুদ্ধে নিহত ৩ বিডিআরকে যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর উপাধি দেওয়া হয়। বর্তমানে যে বিজিবি দিবস পালিত হয় তাতে যেন বড়াইবাড়ী দিবসটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বড়াইবাড়ী দিবসে আসা তৎকালীন বিডিআর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল দেলোয়ার হোসেন জানান, বড়াইবাড়ীর এ ঘটনা ঐতিহাসিক। এটি সারা বিশ্বে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর