-674f5bed70070.png)
ছবি : সংগৃহীত
রাঙামাটির সাজেকে জেএসএস ও ইপিডিএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় খাগড়াছড়ি ফিরতে পারেননি পাঁচ শতাধিক পর্যটক। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জোবাইদা আক্তারের সই করা এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ-এর মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনার পর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাজেক ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ৪ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সাজেকে বর্তমানে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা। তিনি জানান, সাজেক ও মাচালংয়ের ৭নং ওয়ার্ডের শীপপাড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই ঘটনার পর বিকেলে সাজেক থেকে প্রায় ১০টি পর্যটকবাহী গাড়ির যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জিপগাড়ির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন আরাফাত জানান, সকালে সাজেক থেকে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি খাগড়াছড়ি ফিরেছে। তবে বিকেলে কোনো পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরেনি এবং নতুন কোনো গাড়ি সাজেকে যায়নি।
বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সাজেকে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বুধবার যারা সাজেকে অবস্থান করছেন, তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।